Wednesday, November 7, 2012

আমার বাংলা

আমার বাংলা

- শুভঙ্কর সেনগুপ্ত

-----------------------------------------

আবার আমি যাচ্ছি চলে, আমার বাংলার আঁচল কোলে -

দেখছি স্বপ্ন নীল্ চোখেতে, আমার বাংলা আমার বুকেতে -

বাঁধছি আশা স্বপ্ন ঘিরে , বাংলা মোদের গঙ্গা তীরে ,

মাঠ পেরিয়ে , ঘাট পেরিয়ে, রেল চলছে তর তরিয়ে -

মাঝখানেতে ধানের ক্ষেত , সবুজ পাতায় শিশির বেশ  ,

সেই সকালের দোয়েল ডাক , মাছরাঙ্গা একঝাক  -

সবুজ বনের মিষ্টি হাসি , বলছে এবার কাছে আসি  ,

বলতে বলতে সকাল বেলা , আর মাত্র আরেক বেলা  -

ভাবনাগুলো যাচ্ছে বেড়ে , প্রত্যাশার সব সীমা ফুঁড়ে  -

মায়ের হাতের নাড়ুর টান , গ্রাম বাংলার বাউল গান ,

ভাসছে মন, যাচ্ছে আজ, দেখতে বাংলার রঙিন সাজ -

বাংলা মোর মাতৃভূমি , রূপসী বাংলা আজও তুমি ,

আজও তোমার রঙের ছটা , ছড়িয়ে আছে দৃশ্য পটে -

নিন্দুকরা বলে বলুক, যায় আসে না কিচ্ছু তাতে ।

বাংলার সেই সবুজ ঘাস , সকালে তে শিউলি সুভাস  ,

যায়নি ভুলে কিছুই আজও, স্মৃতিগুলি জ্যান্ত আজও -

বছর পরে দেখা হবে , দেখব তোমায় নতুন ভাবে ,

ভাসছে মন তোমার গানে , ঘরের পথের ব্যাকুল টানে ।। 

--------------------------------------------

All rights reserved to Subhankar Sengupta
  

Monday, November 5, 2012

স্বপ্ন বিলাস

স্বপ্ন বিলাস

- শুভঙ্কর সেনগুপ্ত

-----------------------------------------

স্বপ্ন গুলো এলোমেলো , নীল্ চোখেতে আশা -

চাইছে মন একটুখানি আলতো ভালবাসা ।

দূর স্বপ্নের হাতছানি আর , তোমার চোখের কালো -

বলতে পর, চাঁদের কেন মিষ্টি এত আলো ।

ঘর বাঁধার স্বপ্ন যে মন , চাইছে নাকো আজ -

চইছে মন , পাছি কোথায়, লাল গোধুলি সাঁজ ।

আশা তবু আশা আছে, বুকভরা আশা -

স্বপ্ন জুড়ে এগিয়ে চলা , আর উম্মাদ ভালবাসা ।

ভাবতে ভাবতে বিকেল হলো, সূর্য নামে পাটে -

আসছে আবার সাঁজের বেলা, নীল্ গঙ্গার ঘাটে।

চলো সেথায় যাই চলে যাই, দূর স্বপ্ন কাছে পেতে চাই,

ভাবনাগুলো ভেসে বেড়ায় , তোমার আঁচল ঘিরে -

আবার আমি দেখব স্বপ্ন, ঘরের কোনে ফিরে ।

তোমায় কিছু বলার আছে, স্বপ্নগুলোর কথা -

শুনবে তুমি? বুঝবে তবে নৃসংস সব ব্যথা ।

কাব্য করে লিখছি তা  আজ , লাগতে পারে ভালো -

স্বপ্নগুলো রঙিন হলেও, বাস্তবটা কালো ।

নিভৃত সেই আঁধার মাঝে, গুমোট করা হাসি -

সত্যি বলছি , আমি তোমায় আজও ভালবাসি ।।

------------------------------------------------

All rights reserved to Subhankar Sengupta 

Sunday, November 4, 2012

অসহায়

অসহায় 

 - শুভঙ্কর সেনগুপ্ত 

-----------------------------------------------
বিস্তৃত মাঠ আর ক্ষরতপ্ত মরুভূমি ,
স্বপ্নগুলো মরিচিকার ন্যায় , পথিকের খোঁজে অন্তহীন ।
বৃষ্টিভেজা পায় ,একটু একটু করে সবুজ ঘাসের ছোঁয়া -
শিশির স্তব্দ সকালে,  শালিকের কিচির মিচির ।


ধুসর স্মৃতিগুলি আজ বড়ই রঙিন ,
অজাচিতি ঝড়ের মত ,বার বার বিধস্ত করে যাচ্ছে -
সমুদ্র সৈকতের জন বসতিকে ।


সময় বয়ে যায় -
ঝড় স্তব্ধ আকাশের অপেক্ষায় ,
অগুন্তি মানুষের ভিড় -
আর সেই দৃপ্ত মুখ গুলির প্রতিক্ষায় ।


জীবনের কাছে ফিরে আসার -
মৃত্যুর সেই অবিরাম চেষ্টা ,
ভ্রাম্যমান স্পৃহাগুলি ,
আজ চায় হাতছানি দিতে ।


বাষট্টির সেই ব্যর্থ প্রচেষ্টা -
অজও তাড়া করে বেড়ায় ,
আজও সীমান্তের থেকে বহু দুরে দাঁড়িয়ে -
অসহায় সেই মুখ গুলিকে দেখা যায় ।।
-------------------------------------------

All rights reserved to Subhankar Sengupta 

Friday, November 2, 2012

জাতবাজি

জাতবাজি 

 - শুভঙ্কর সেনগুপ্ত 

----------------------------------------

জাতের নামে বজ্জাতি সব ,

জাত  জালিয়াত খেলছ জুয়া -

ছুলেই তোদের জাত চলে যায় ,

জাত মামার বাড়ির নয়কো মুয়া ।।


তোমার লেখা তোমার গান ,

ভুলি নি কেও আমরা কবি -

জওয়ান বুড়ো, বাচ্চা খোকা ,

শিশু কিশোর, ছোট্ট নবী ।।


প্রশ্ন তবে উঠছে বল ,

মানছি কোথায় সেসব গান -

গ্রাম বাংলায় আজও আছে -

নক্শিকাথার উপখ্যান ।।


আজও চলে ধর্মের নামে ,

লোক ঠকানো ব্যাবসা বাজি -

ধর্মভীরু মানুষকে তাই -

ঠকাচ্ছে সব পণ্ডিত কাজী ।।


উচ্চ বর্ণ মানুষ গুলো ,

নিজেদের সব ব্রাক্ষণ বলে -

ব্রক্ষ জ্ঞানের হদিস নেই আর -

বামুন বলে বড়াই করে ।।


ওরে পাগল শাস্ত্র পড়িস ,

কোন শাস্ত্রে আছে লেখা -

পৈতে টা গলায় দিলে -

ব্রাক্ষণ হওয়ার গল্প কথা ।।


বিয়ের সময় জাতের হিসাব ,

অ ব্রাক্ষণ তাই অচ্ছুত জাত ?

তুই যে ব্রাক্ষণ, প্রমান কি তার ?

গলায় পৈতের অজুহাত ।।


ছার এইসব জাতবাজি আর ,

ঠকাস নেকো মানুষ জনে ,

করবিই যদি জাতবাজি তো -

সমাজটা ছাড় থাকগে বনে ।।

  ----------------------------------

All rights reserved to Subhankar Sengupta 





Wednesday, October 31, 2012

সরকারী গল্প

সরকারী গল্প 

 - শুভঙ্কর সেনগুপ্ত 

--------------------------------------------------

পৃথিবী টা অনেক ছোট হয়ে গেছে ।

সপ্নগুলো দুমড়ে মুচড়ে ডাস্টবিন এ পরে রয়েছে -

সংখালঘু সম্প্রদায়ের ন্যায় ।

 

চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে -

আর খবরের কাগজ হাতে ভাবছি -

দেশের অর্থনৈতিক ভাবমূর্তি ফেরাতে,

সরকার আর কি কি ভর্তুকি ভরতে পারে -

নিজের পকেটে ।

 

ব্যাপারটা খুবই সোজা ,

ভর্তুকির রাশ টানতে টানতে সরকার নাকি-

দেওলিয়া ।

আর তাই সরকার আপনার বাড়ির গ্যাস ,

আপনার গাড়ির পেট্রলের খরচ,

আপনার দৈনন্দিন প্রয়োজন আর বইতে পারছে না ।


তবে শিল্পপতিদের কোটি কোটি টাকার ঋণ-

সরকার বইতে পারে ।

এই দেওলিয়া সরকার খরচ করতে পারে-

লক্ষ লক্ষ টাকা মন্ত্রী আমলাদের সিকিউরিটিতে ।

দিতে পারে লক্ষ লক্ষ টাকা সাহায্য-

প্রতিবেশী দেশকে ।

এমন কি বিদেশী হাসপাতালের খরচ নাকি সরকার চালায়। **(বিস্তারিত ঘটনা সকলের জানা )

 

এবার বলুনতো আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

ইতিমধেই ঘোষণা করেছেন "টাকা নাকি গাছে ধরে না" ।

( হা হা )হাসলেন মাইরি, টাকা গাছে না ধরলেও, গাছের তলায় গজায় ।

এটাই সত্যি।

না হলে কি সুইস ব্যাঙ্ক ভারতীয় আমানত জমা রাখত ?

আর তা না হলে কি ভারতবর্ষে education loan এর সুদ -

personal loan এর চাইতে বেশি হত দাদা ।


 

একটু ভাবুন দাদা কোথায় আছেন।

আপনি এমন একটি গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক -

যেখানে আপনার ব্যবসার জন্য লোন নিতে  -

কমপক্ষে দুটো জুত কিনতে হতে পারে ,

আর জুত তো দুরে থাক ,

দেশে না এসেই ব্যবসার জন্য সব সুযোগ সুবিধা পেতে পারে -

"World Mart" এর মত অনেক বিদেশী সংস্থা ।


 

ইতিমধেই খবরের কাগজের দৌলতে জানা গেছে -

তথ্যের অধিকার আইনে একজন নাকি জেনেছেন  -

জাতিরজনক মহত্মা গান্ধী কে নাকি আর জাতিরজনক বলা যাবে না ।

কারণ, সংবিধান নাকি তার সীকৃতি দেয় না ।

বলুন তো !

তাহলে তো এবার বলা যেতে পারে বাবা কে বাবা

আর মা কে মা বলা যাবে না -

কারণ ,সংবিধানে তো কথাও ওই নাম দুটো লেখা নেই।


 

আসল কথা টি হলো, স্বাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীন সংবিধান -

থুড়ি, গণতান্ত্রিক ভারতবর্ষের  গণতান্ত্রিক সংবিধান এতটাই গণতান্ত্রিক -

যে মন্ত্রীরা যেকোনো সময় তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার বলে -

সংসদে যে কোনো বিল পাশ করাতে পারে ।


 

মাননীয় মন্ত্রীগণ আপনাদের কাছে আমার এতটুকু

বিনম্র অনুরোধ, দয়া করিয়া -

ঘরের খাইয়া বনের মোষ তাড়াইতে যাইবেন না ।

দেশর অভ্যন্তরীণ অবস্থা বিবেচনা করুন -

নয়তো এমন সময় আসছে-

যখন হয়ত কিছু না খাইয়াই

বনের মোষেদের সাথে বাস করতে হইতে পারে ।


---------------------------------------
All rights reserved to Subhankar Sengupta 

Monday, August 20, 2012

আমি সুভাষ বলছি

আমি সুভাষ বলছি

- শুভঙ্কর সেনগুপ্ত 

--------------------------------------------------

তোমার  জন্য বলতে পারি হাজারটা কথা ,

বলতে পারো হাজারটা পৃথিবী লিখতে পারি তোমার জন্য ।

তবে এই বলা আর লেখার মাঝে কথাও যেন একটা শূন্যতা ,

ঠিক ওই খোলা আকাশটার মতো নীল শূন্যতা ।


 

সেই আকাশটাতেও , প্রতিদিন সূর্য ওঠে , সূর্য আস্ত যায় ,

তারারাও হাসে মিট মিট করে ।

তবে চাঁদ ওঠে না আর ।


 

জোত্স্না আর ভাসে না আমার গায়ে ,

আর দেখতে পাই না সেই  সুন্দর সোনালী পৃথিবীটাকে  ।

তবু যেন কথাও একটা আশা রয়ে গিয়েছে,

রয়ে গিয়েছে চাঁদ কে ফিরে পাওয়ার  অবিরাম চেষ্টা ।


 

জানিনা চাঁদকে ফিরে পাবে কিনা আমার সেই আকাশ,

তবে এটুকু জানি ,মুরুদ্যানের খোঁজ-

মরুভূমির প্রতিটি বালুকানাকে তপ্ত করে দিয়েছে ,

প্রতি মুহুর্তে উতপ্ত হছে বাতাস ।


 

আর সেই উতপ্ত বাতাস বয়ে নিয়ে যাছে তোমার সেই উদ্দামকে,

আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে তোমার উত্তাপ ,

আর কদিন এই অগ্নেওগিরি চাপা থাকবে, জানিনা তাও।


 

তবে যেদিন তোমায় শেষ দেখা গিয়েছিল এলগিন রোডের ঘরটিতে  -

উত্তাপের সুরু সেখান থেকেই ।

আর ঠিক সেই সময় থেকে সুরু তোমায় ফিরে পাওয়ার চেষ্টা ।


 

চেষ্টা আজও শেষ হয়নি, ভবিষ্যতেও চলবে ।

সত্যি কথা বলতে,তুমি ফিরে এলেও চলবে ।


 

আমাদের এই স্বাধীন ভারতবর্ষে -

স্বাধীনতাটা বড্ড বেশী ।

তাই লোকে  স্বাধীন ভাবে ভাবতে চায় ,

স্বাধীন ভাবে খুঁজতে চায় ।


 

প্রচুর কমিসন তোমায় নিয়ে  বসেছে এবং দাঁড়িয়েছে ,

কাজের কাজ কিছুই হয়নি, সুধু হয়েছে তোমায় নিয়ে -

বড় বড় রিপোর্ট , আর পুনরায় খোঁজ করার অনুপ্রেরণা ।


 

আমরা খুঁজে চলছি, খুঁজে চলব -

আমাদের বিশ্বাস আমরা খুঁজে পাব তোমায়,

আমরা খুঁজে পাব সেই আজাদ হিন্দকে ,

আর তার নায়ককে ।


 

একদিন তুমি আসবে ,তুমি ফিরবে ,

আর সেই লাল কেল্লায়, সেই তেরাঙ্গার ছায়ায় দাঁড়িয়ে -

তুমি দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষণা করবে -


 

আমি সুভাষ বলছি -

আমি সুভাষ বলছি -

আমি সুভাষ বলছি ।


-------------------------
All rights reserved to Subhankar Sengupta